০৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন

নিজস্ব প্রতিনিধি

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন

অর্থপাচার আইনে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজ ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল, তার শালিকা ও মেয়েসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, জেসমিন প্রধানের মালিকানাধীন কম্পানি জেডাব্লিউ লীলাবালী ও কাজী বদরুল আলম লিটন।

এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।

মামলায় বলা হয়, সাংসদ পাপুল সংঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় মানবপাচারের মাধ্যমে প্রচুর অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এই অপরাধলব্ধ আয় জ্ঞাতসারে অর্জন, ভোগ, অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে রূপান্তর করা মানি লন্ডারিং আইনের ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
১৮৪ বার পড়া হয়েছে

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন

আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

অর্থপাচার আইনে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজ ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল, তার শালিকা ও মেয়েসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, জেসমিন প্রধানের মালিকানাধীন কম্পানি জেডাব্লিউ লীলাবালী ও কাজী বদরুল আলম লিটন।

এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।

মামলায় বলা হয়, সাংসদ পাপুল সংঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় মানবপাচারের মাধ্যমে প্রচুর অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এই অপরাধলব্ধ আয় জ্ঞাতসারে অর্জন, ভোগ, অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে রূপান্তর করা মানি লন্ডারিং আইনের ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।