০৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় কর্মশালা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় কর্মশালা

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিষয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ইউজিসিতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউজিসি থেকে বলা হয়েছে, বার্ষিক প্রতিবেদনে ইউজিসিসহ দেশের ৫০টি পাবলিক ও ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১ সালের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো সংক্রান্ত তথ্য যুক্ত করা হবে। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তসমূহ পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং সংশ্লিষ্টদের মতামত অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চূড়ান্তকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ইউজিসি আইন ১৯৭৩ অনুসারে ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ইউজিসি গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তারে সরকার নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে। উচ্চশিক্ষার বিস্তারে বর্তমান সরকারর উদ্যোগ প্রসংশনীয়। তবে উচ্চশিক্ষার বিস্তারের সাথে সাথে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকীকরণে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায়, বৈশ্বিক র্যাং কিং এ আমাদের বিশ্ববিদ্যায়গুলো সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করতে ব্যর্থ হবে।

বার্ষিক প্রতিবেদন ডিজিটালাইজেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ডিজিটাল করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি ডায়নামিক সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এটি চূড়ান্ত হলে বার্ষিক প্রতিবেদন যথাসময়ে ও নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র‌্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য নিয়মিত হালনাগাদকরণের পরামর্শ দেন। দেশ-বিদেশের ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী বিনিময় প্রোগ্রামে তথ্য সমৃদ্ধ বার্ষিক প্রতিবেদনের গুরত্ব অপরিসীম বলে জানান। তিনি নির্ভুল বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান।

ইউজিসি গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একই বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক নাহিদ সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বার্ষিক প্রতিবেদন ও তথ্য ছক পূরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ০২:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
১৮৫ বার পড়া হয়েছে

ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় কর্মশালা

আপডেট সময় : ০২:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিষয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ইউজিসিতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউজিসি থেকে বলা হয়েছে, বার্ষিক প্রতিবেদনে ইউজিসিসহ দেশের ৫০টি পাবলিক ও ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১ সালের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো সংক্রান্ত তথ্য যুক্ত করা হবে। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তসমূহ পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং সংশ্লিষ্টদের মতামত অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চূড়ান্তকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ইউজিসি আইন ১৯৭৩ অনুসারে ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ইউজিসি গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তারে সরকার নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে। উচ্চশিক্ষার বিস্তারে বর্তমান সরকারর উদ্যোগ প্রসংশনীয়। তবে উচ্চশিক্ষার বিস্তারের সাথে সাথে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকীকরণে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায়, বৈশ্বিক র্যাং কিং এ আমাদের বিশ্ববিদ্যায়গুলো সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করতে ব্যর্থ হবে।

বার্ষিক প্রতিবেদন ডিজিটালাইজেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ডিজিটাল করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি ডায়নামিক সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এটি চূড়ান্ত হলে বার্ষিক প্রতিবেদন যথাসময়ে ও নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র‌্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য নিয়মিত হালনাগাদকরণের পরামর্শ দেন। দেশ-বিদেশের ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী বিনিময় প্রোগ্রামে তথ্য সমৃদ্ধ বার্ষিক প্রতিবেদনের গুরত্ব অপরিসীম বলে জানান। তিনি নির্ভুল বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান।

ইউজিসি গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একই বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক নাহিদ সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বার্ষিক প্রতিবেদন ও তথ্য ছক পূরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস।