০৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩

ইনানী বিচের জেটি কেন অপসারণ নয়, জানতে চেয়ে রুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ইনানী বিচের জেটি কেন অপসারণ নয়, জানতে চেয়ে রুল

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী বিচে তৈরি করা জেটি কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী আমীর হোছাইন।

তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেশের প্রত্যেকটা মানুষের অহংকার ও গর্ব। এই বিরল প্রাকৃতিক ঐতিহ্য দ্বিখণ্ডিত করে জেটি নির্মাণের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম, আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন অনেকবার মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। এরপরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিনে পক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন অ্যাডভোকেট ফাউজিয়া আক্তার। এ রিট পিটিশন শুনানির পর আদালত এ রুল জারি করেন।

এদিকে, সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ১১ বছর আগে নির্দেশ দেওয়ার পরও তা পালন না করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশিদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তলব করে রুল জারি করেন।

একই সঙ্গে কক্সবাজারের ডিসিসহ পাঁচ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নির্দেশনা না মানায় আদালত অবমাননার রুলও জারি করেছেন আদালত। রুলে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

মামুনুর রশিদ ছাড়া অন্য চার কর্মকর্তা হলেন- কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, কক্সবাজারের পৌর মেয়র মো. মজিবুর রহমান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ ও ডেপুটি টাউন প্ল্যানার তানভীর হাসান রেজাউল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ১০:১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
১৮৮ বার পড়া হয়েছে

ইনানী বিচের জেটি কেন অপসারণ নয়, জানতে চেয়ে রুল

আপডেট সময় : ১০:১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী বিচে তৈরি করা জেটি কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী আমীর হোছাইন।

তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেশের প্রত্যেকটা মানুষের অহংকার ও গর্ব। এই বিরল প্রাকৃতিক ঐতিহ্য দ্বিখণ্ডিত করে জেটি নির্মাণের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম, আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন অনেকবার মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। এরপরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিনে পক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন অ্যাডভোকেট ফাউজিয়া আক্তার। এ রিট পিটিশন শুনানির পর আদালত এ রুল জারি করেন।

এদিকে, সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ১১ বছর আগে নির্দেশ দেওয়ার পরও তা পালন না করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশিদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তলব করে রুল জারি করেন।

একই সঙ্গে কক্সবাজারের ডিসিসহ পাঁচ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নির্দেশনা না মানায় আদালত অবমাননার রুলও জারি করেছেন আদালত। রুলে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

মামুনুর রশিদ ছাড়া অন্য চার কর্মকর্তা হলেন- কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, কক্সবাজারের পৌর মেয়র মো. মজিবুর রহমান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ ও ডেপুটি টাউন প্ল্যানার তানভীর হাসান রেজাউল।