০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

চোখে ভাইরাস লাগা রোগের প্রকোপ চরমে!

মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ

চোখে ভাইরাস লাগা রোগের প্রকোপ চরমে!

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চোখে ভাইরাস লাগা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এ রোগে। চিকিৎসকেরা বলছেন গরমে ও বর্ষায় চোখে ভাইরাস লাগার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটিকে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস। তবে স্থানীয়ভাবে এ সমস্যা চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যান্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। চোখে ভাইরাস লাগলে কখনো কখনো এক চোখে অথবা দুচোখেই জ্বালা করে এবং লাল হয়ে ফুলে যায়।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই চোখে ভাইরাস লাগা রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করছে। তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক, চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার ও পল্লীচিকিৎসকের কাছে চোখে ভাইরাস লাগা রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। ফলে চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রে এখন রোগীর ভীড় বাড়ছে। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুন বলেন,‘কনজাংটিভাইটিস’ বা চোখে ভাইরাস লাগা রোগ এ সময়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ সমস্যা থেকে ৫ বা ৭ দিনের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করা যায়।

এ ছাড়া আক্রান্ত রোগীর চোখে কালো গ্লাসের চশমা ব্যবহার করা, রোদে যথাসম্ভব কম যাওয়া, চোখে হাত না দেওয়া, চোখ পরিষ্কার করতে নরম টিস্যু ব্যবহার করা, পুকুর বা নদীনালায় গোসল না করা, রোগীর ব্যবহৃত তোয়ালে বা অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা রাখা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এই রোগ নিয়ে গত কয়েকদিন অনেক রোগী আসছেন। হাসপাতাল থেকে তাদেরকে চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
১১০ বার পড়া হয়েছে

চোখে ভাইরাস লাগা রোগের প্রকোপ চরমে!

আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চোখে ভাইরাস লাগা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এ রোগে। চিকিৎসকেরা বলছেন গরমে ও বর্ষায় চোখে ভাইরাস লাগার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটিকে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস। তবে স্থানীয়ভাবে এ সমস্যা চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যান্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। চোখে ভাইরাস লাগলে কখনো কখনো এক চোখে অথবা দুচোখেই জ্বালা করে এবং লাল হয়ে ফুলে যায়।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই চোখে ভাইরাস লাগা রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করছে। তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক, চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার ও পল্লীচিকিৎসকের কাছে চোখে ভাইরাস লাগা রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। ফলে চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রে এখন রোগীর ভীড় বাড়ছে। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুন বলেন,‘কনজাংটিভাইটিস’ বা চোখে ভাইরাস লাগা রোগ এ সময়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ সমস্যা থেকে ৫ বা ৭ দিনের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করা যায়।

এ ছাড়া আক্রান্ত রোগীর চোখে কালো গ্লাসের চশমা ব্যবহার করা, রোদে যথাসম্ভব কম যাওয়া, চোখে হাত না দেওয়া, চোখ পরিষ্কার করতে নরম টিস্যু ব্যবহার করা, পুকুর বা নদীনালায় গোসল না করা, রোগীর ব্যবহৃত তোয়ালে বা অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা রাখা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এই রোগ নিয়ে গত কয়েকদিন অনেক রোগী আসছেন। হাসপাতাল থেকে তাদেরকে চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।