জঙ্গি সম্পৃক্ততায় গ্রেফতার চিকিৎসক জাকির রিমান্ডে

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকির হোসেনের (৩০) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) যাত্রাবাড়ী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আদালতের সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার জাকিরকে আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) জানিয়েছে, চিকিৎসক জাকির নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনে তিনি ইব্রাহিম নামে পরিচিত। তিনি ব্লগে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন আর্টিকেল ‘কাইজেন’ নামের একটি সিরিজে লিখেছেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৩-১৪ সালে ছাত্রজীবন থেকেই আবু সামির নামে একজনের সঙ্গে পরিচয়ের পর আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন জাকির।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার জাকির হোসেন কয়েকজনের নাম জানিয়েছেন। তারা হলেন- নাদিম, মুসা, আমজাদ, জুনায়েদ ওরফে রনি, এজাজ, মিঠু, জুলফিকার, নোবেল ওরফে মিন্টু, ওয়ালীম, মুস্তাকিম, শায়েখ মামুন, মীর ফরহাদ, সাইফুল্লাহ, ফরিদ ও সিরাজ। তারা সংগঠনের সদস্য এবং সাংঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন শেষ করে সহকর্মী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে এসএমএস পাঠিয়ে নিরুদ্দেশ হন ডা. জাকির হোসেন। এরপর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।