১২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর থেকে দিনে ৫০ মোবাইল ছিনতাই করতো চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর থেকে দিনে ৫০ মোবাইল ছিনতাই করতো চক্রটি

টঙ্গী ও রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ছিনতাই চক্রের অন্যতম মূলহোতা শরীফ হোসেনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫৯টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার শরীফ পাঁচ বছর ধরে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। একদিনে তিনি সর্বোচ্চ ৫০টি পর্যন্ত ছিনতাই করা মোবাইল সংগ্রহ করেছেন।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) উত্তরা নিজ কার‌্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

ছিনতাই চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. শরীফ হোসেন (২২) ছাড়া বাকি গ্রেফতাররা হলেন আব্দুল্লাহ বাবু (২৩) ও মো. শ্যামল হোসেন ওরফে রাব্বি (২৩)।

তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোটরসাইকেল, ১০টি মোবাইল, একটি হাতঘড়ি এবং নগদ ২৫ হাজার ৬৩৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যে টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে ছিনতাই চক্রের অপর সক্রিয় সদস্য নাছির রাজ (৩০) ও সাজেদুল আলম ওরফে শাওনকে (২১) গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ৪৯টি মোবাইল, দুটি সিপিইউ, দুটি মনিটর, একটি সিসি ক্যামেরা, একটি ডিভিআর, দুটি ভিসা কার্ড এবং নগদ তিন হাজার ৭৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, শরীফ হোসেন উত্তরার আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত সড়কের ছিনতাই চক্রের দলনেতা। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছিচকে চোর ও ছিনতাইকারী চক্র চলন্ত গাড়ি থেকে থাবা দিয়ে কিংবা অন্ধকারে নিরীহ পথচারীদের জিম্মি করে যেসব মোবাইল ছিনতাই করা হয়, সেগুলো প্রথমে শরীফের কাছে জমা রাখা হয়।

এরপর শরীফ এসব মোবাইল কম দামে কিনে আব্দুল্লাহ বাবু ও শ্যামলের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র‌্যাবকে জানান, একদিনে সর্বোচ্চ ৫০টি পর্যন্ত ছিনতাই মোবাইল সংগ্রহ করেছেন তিনি।

র‌্যাব-১ এর সিও বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহ বাবু ও শ্যামল ছিনতাই করা মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল বিক্রির কাজে জড়িত। তারা বিভিন্ন দোকান, অনলাইন প্লাটফর্ম ও বিভিন্ন লোকের কাছে খুচরা হিসেবে এসময় মোবাইল বিক্রি করেন। বাজারমূল্যের চাইতে প্রায় অর্ধেকেরও কম দামে এসব মোবাইল বিক্রি করা হয়।

অন্যদিকে গ্রেফতার নাছির মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার। টঙ্গী বাজারে তার একটি মোবাইল মেরামতের দোকান রয়েছে। ওই দোকানে বৈধ ব্যবসার আড়ালে চোরাই মোবাইলের লক খোলা ও আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করতেন তিনি। নাছির তিন বছর ধরে নিজস্ব দোকানে ব্যবসা করে আসছেন।

ব্যবসা শুরু করার আগে নাছির অন্য একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

গ্রেফতার শাওন একটি মোবাইল মেরামত দোকানের কর্মচারী। তিনি ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ছিনতাই মোবাইলের লক খোলা এবং আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করতেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
১৮১ বার পড়া হয়েছে

টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর থেকে দিনে ৫০ মোবাইল ছিনতাই করতো চক্রটি

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

টঙ্গী ও রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ছিনতাই চক্রের অন্যতম মূলহোতা শরীফ হোসেনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫৯টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার শরীফ পাঁচ বছর ধরে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। একদিনে তিনি সর্বোচ্চ ৫০টি পর্যন্ত ছিনতাই করা মোবাইল সংগ্রহ করেছেন।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) উত্তরা নিজ কার‌্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

ছিনতাই চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. শরীফ হোসেন (২২) ছাড়া বাকি গ্রেফতাররা হলেন আব্দুল্লাহ বাবু (২৩) ও মো. শ্যামল হোসেন ওরফে রাব্বি (২৩)।

তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোটরসাইকেল, ১০টি মোবাইল, একটি হাতঘড়ি এবং নগদ ২৫ হাজার ৬৩৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যে টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে ছিনতাই চক্রের অপর সক্রিয় সদস্য নাছির রাজ (৩০) ও সাজেদুল আলম ওরফে শাওনকে (২১) গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ৪৯টি মোবাইল, দুটি সিপিইউ, দুটি মনিটর, একটি সিসি ক্যামেরা, একটি ডিভিআর, দুটি ভিসা কার্ড এবং নগদ তিন হাজার ৭৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, শরীফ হোসেন উত্তরার আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত সড়কের ছিনতাই চক্রের দলনেতা। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছিচকে চোর ও ছিনতাইকারী চক্র চলন্ত গাড়ি থেকে থাবা দিয়ে কিংবা অন্ধকারে নিরীহ পথচারীদের জিম্মি করে যেসব মোবাইল ছিনতাই করা হয়, সেগুলো প্রথমে শরীফের কাছে জমা রাখা হয়।

এরপর শরীফ এসব মোবাইল কম দামে কিনে আব্দুল্লাহ বাবু ও শ্যামলের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র‌্যাবকে জানান, একদিনে সর্বোচ্চ ৫০টি পর্যন্ত ছিনতাই মোবাইল সংগ্রহ করেছেন তিনি।

র‌্যাব-১ এর সিও বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহ বাবু ও শ্যামল ছিনতাই করা মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল বিক্রির কাজে জড়িত। তারা বিভিন্ন দোকান, অনলাইন প্লাটফর্ম ও বিভিন্ন লোকের কাছে খুচরা হিসেবে এসময় মোবাইল বিক্রি করেন। বাজারমূল্যের চাইতে প্রায় অর্ধেকেরও কম দামে এসব মোবাইল বিক্রি করা হয়।

অন্যদিকে গ্রেফতার নাছির মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার। টঙ্গী বাজারে তার একটি মোবাইল মেরামতের দোকান রয়েছে। ওই দোকানে বৈধ ব্যবসার আড়ালে চোরাই মোবাইলের লক খোলা ও আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করতেন তিনি। নাছির তিন বছর ধরে নিজস্ব দোকানে ব্যবসা করে আসছেন।

ব্যবসা শুরু করার আগে নাছির অন্য একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

গ্রেফতার শাওন একটি মোবাইল মেরামত দোকানের কর্মচারী। তিনি ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ছিনতাই মোবাইলের লক খোলা এবং আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করতেন।