০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

মহেশপুর থেকে পাবনায় স্বামী-স্ত্রী’র বাসা ভাড়া-রাতেই খুন হলেন স্ত্রী, স্বামী পলাতক

মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ

মহেশপুর থেকে পাবনায় স্বামী-স্ত্রী’র বাসা ভাড়া-রাতেই খুন হলেন স্ত্রী, স্বামী পলাতক

পাবনার ঈশ্বরদীতে নতুন বাসায় ভাড়া নেওয়ার রাতেই সোনিয়া খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেঁটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর এলাকার পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গভীর রাতে এ খুনের ঘটনা ঘটে। সোনিয়া ঝিনাইদহ জেলার মেহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। সে ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকুরি করতেন। তাদের হামিম নামে তিন বছরের ছেলেটিকেও পাওয়া যাচ্ছে না। রুবেল প্রবাসী ছিলেন। গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি ঈশ্বরদী শহরের একরাম আলীর বুদুর বাসায় ভাড়া নেন। অভিযুক্ত রুবেল হোসেন ঝিনাইদহ মহেশপুরের হামিদপুরের হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু জানান, বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ তাঁর আত্মীয়স্বজনরা এসে দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নেয়। রাতে রান্না করে খাওয়া খাওয়া করেছে। সকাল ৮টার দিকে বাসার দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই-সোনিয়ার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় তাঁর পরনে বোরকা ছিল। গলা ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সোনিয়ার খালাতো বোন নারগিস আক্তার জানান, সোনিয়া গতকাল বুধবার তাঁকে মুঠোফোনে জানিয়েছে তাঁর স্বামী রুবেল সৌদি আরব থেকে এসেছে। রুবেল আসার পর বুধবার দুপুরে তারা বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তি মুঠোফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর তাকে জানান।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সোনিয়ার স্বামী রুবেল পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, সোনিয়া খাতুনের গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনা সিআইডি ও পিবিআই পুলিশের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ০২:১৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
১৭৩ বার পড়া হয়েছে

মহেশপুর থেকে পাবনায় স্বামী-স্ত্রী’র বাসা ভাড়া-রাতেই খুন হলেন স্ত্রী, স্বামী পলাতক

আপডেট সময় : ০২:১৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদীতে নতুন বাসায় ভাড়া নেওয়ার রাতেই সোনিয়া খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেঁটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর এলাকার পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গভীর রাতে এ খুনের ঘটনা ঘটে। সোনিয়া ঝিনাইদহ জেলার মেহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। সে ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকুরি করতেন। তাদের হামিম নামে তিন বছরের ছেলেটিকেও পাওয়া যাচ্ছে না। রুবেল প্রবাসী ছিলেন। গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি ঈশ্বরদী শহরের একরাম আলীর বুদুর বাসায় ভাড়া নেন। অভিযুক্ত রুবেল হোসেন ঝিনাইদহ মহেশপুরের হামিদপুরের হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু জানান, বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ তাঁর আত্মীয়স্বজনরা এসে দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নেয়। রাতে রান্না করে খাওয়া খাওয়া করেছে। সকাল ৮টার দিকে বাসার দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই-সোনিয়ার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় তাঁর পরনে বোরকা ছিল। গলা ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সোনিয়ার খালাতো বোন নারগিস আক্তার জানান, সোনিয়া গতকাল বুধবার তাঁকে মুঠোফোনে জানিয়েছে তাঁর স্বামী রুবেল সৌদি আরব থেকে এসেছে। রুবেল আসার পর বুধবার দুপুরে তারা বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তি মুঠোফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর তাকে জানান।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সোনিয়ার স্বামী রুবেল পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, সোনিয়া খাতুনের গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনা সিআইডি ও পিবিআই পুলিশের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।