শুভ জন্মদিন এমদাদ হোসেন চৌধুরী!

‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।’ কবি কামিনী রায়ের এই মহৎ পঙ্কিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে যিনি মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি দরগাপাশা গ্রামের কৃতি সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী, দরগাপাশা আত্নীয় স্বজন আর্তমানবতা সংগঠনের সভাপতি, প্রবাসী দরগাপাশা পঞ্চায়েত কাউন্সিল সংগঠনের কর্ণধার, যুক্তরাজ্য বার্ণলী শহরের বিশিষ্ট কেটারিং সফল ব্যবসায়ী জনাব এমদাদ হোসেন চৌধুরীর ৫৩তম জন্মদিন আজ।
যার সম্পর্কে বলছি তাহার উন্নয়ন মূলক কাজ গুলা নিম্নে তুলে ধরলামঃ
নিজ জন্মভূমিতে এসেই ছুটে চলে যান এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন। গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান লন্ডন প্রবাসী এমদাদ হোসেন চৌধুরী, দেশে অবস্থানরত সময়ে ৮২ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
লন্ডন প্রবাসী এমদাদ হোসেন চৌধুরী তাহার নিজ অর্থায়নে আক্তাপাড়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, হরিনগর মাদ্রাসা, নূরপুর নতুন মসজিদ নির্মাণ,
আব্দুর রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য নগদ অর্থ প্রদান ও নোয়াগাওঁ জামে মসজিদের গেইট নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
** প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি নোয়াগাওঁ জামে মসজিদে একটি নান্দনিক গেইট নির্মাণ করে দিয়েছেন।
** আক্তাপাড়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান দেন।
** দরগাপাশা ইউনিয়নের অন্তরগত হরিনগর গ্রামে একটি নির্মাণাধীন নতুন মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান দেন।
** দরগাপাশা ইউনিয়নের অন্তরগত নুরপুর গ্রামে মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক অনুদান দেন।
** যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো: এমদাদ হোসেন চৌধুরী পরিবার বর্গের পক্ষ থেকে দরগাপাশা ইউনিয়নের অন্তরগত খছদ্দরপুর গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। মসজিদের কাজ প্রায় ৯০% ভাগ শেষ হয়েছে। বাকিটা অচিরেই সম্পূর্ণ হবে বলে জানান। মসজিদের কাজে সহযোগিতা করেন দরগাপাশা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আমির হোসেন চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাকি কাজ গুলা অচিরেই শেষ করবেন বলে প্রভাত বাণীকে জানিয়েছেন এমদাদ হোসেন চৌধুরী ।
** আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, দরগাপাশা – মাঝের বাড়ী ও প্রাবাসী আত্নীয় স্বজন আর্তমানবতা সংগঠনের পক্ষ থেকে দরগাপাশা হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসীক ছাত্র-শিক্ষকদের এক মাস খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোঃ এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও ফজলুল করিম চৌধুরী। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এক মাস খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন বলে মাদ্রাসা সুত্রে জানা যায়।
উনার এবং উনাদের উদ্যোগে গ্রামে হত দরিদ্র মানুষের কাছে প্রায় সময় নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র বিতরণ করে যাচ্ছেন।
প্রভাত বাণী পরিবারের পক্ষ থেকে তাহার সর্বাঙ্গীণ শুভ কামনা জানাই। তাহার অমর কৃতিত্ব হাজার বছর বেছে থাকুন সাধারণ মানুষের মনে।