সাভারে এসিল্যান্ডকে ছুরিকাঘাত, গ্রেফতার আরও ৬

সাভারে পটুয়াখালীর এসিল্যান্ড আবু বক্কর সিদ্দিকীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সাভার মডেল থানার কনফারেন্স কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেফতাররা হলেন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার বাজুন্দি গ্রামের রাসেল ফকির (২০), কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার গজারিয়া বাজার গ্রামের নাঈম (২০), ঢাকার পশ্চিম ভাসানটেক এলাকার কামরুল হাসান (২২), মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার তিল্লিচর গ্রামের সজীব আহমেদ (২০), পাবনার বেড়া থানার ছোটো পায়না গ্রামের আরমান (২১) ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার খালশি গ্রামের মোবাইল বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা (২৫)। তারা সবাই অস্থায়ীভাবে সাভারের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, গত ২২ অক্টোবর ল্যান্ড সার্ভে ও সেটেলমেন্ট-বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে সাভারে আসেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বক্কর সিদ্দিকী। ১৪ নভেম্বর বিকেলে অসুস্থ মাকে দেখার জন্য রাজধানীর মিরপুরে যান তিনি। সেখান থেকে রাতেই সাভারে ফিরে আসেন। রাতে সাভারের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাস থেকে নামার পর ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। এসময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন আবু বক্করের ভগ্নিপতি সুমন হোসেন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এর আগে টেরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করে দুইদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আসামিদের সাভার ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত পাঁচজন এবং মোবাইলটি যে দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল সেই দোকানিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ছিনতাইকারিদের ব্যবহৃত ছুরি।
তিনি আরও বলেন, তাদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মামলা রয়েছে।