জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার বিচার কার্যক্রম দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। সেই মামলা সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিচার শুরুর জন্য বিষয়টি সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে উত্থাপন করে।

সে অনুযায়ী সোমবার (৩১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে অধ্যক্ষ দুলুর মামলাটির ওপর শুনানি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এ বিষয়ে পুনরায় আরও শুনানি ও আদেশ দেওয়ার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুলুর পক্ষে ছিলেন মো. শাহ আলম।

দুদক ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর থানায় অধ্যক্ষ দুলুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ওই বছরই চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এরপর মামলাটি বাতিলের আবেদন জানালে হাইকোর্ট ২০১০ সালে বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে রুলও জারি করেন। সেই থেকে মামলাটির বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দীর্ঘদিন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে মামলাটির বিচারকাজ বন্ধ ছিল। বিচারের পথ খোলার জন্য বিষয়টি হাইকোর্টে উত্থাপন করা হয়। হাইকোর্ট মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সে অনুযায়ী শুনানি শুরু হয়েছে।