১২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১৭ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৭ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকা এবং নোংরা পরিবেশসহ যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় চট্টগ্রামে ১৭টি বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী এবং উপজেলাগুলোতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেন।

সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চট্টেশ্বরীর দেশ মেডিকেল সার্ভিস, পাঁচলাইশের হেলথ হোম প্রা. লিমিটেড, ফেয়ার হেলথ, পাঁচলাইশ শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল, ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতাল এবং মেঘনা ল্যাবে অভিযান পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী। এসময় পাঁচলাইশ শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এবং মেঘনা ল্যাবের সব নথি এবং অন্যান্য সেবা যথাযথ ছিল বলে দেখতে পান সিভিল সার্জন।

অভিযানে লাইসেন্স নবায়ন না করা, অনলাইন নিবন্ধনের কোনো নথিপত্রা না থাকা, ডিপ্লোমাধারী নার্সসহ যথাযথ ডকুমেন্ট না থাকার অভিযোগে দেশ মেডিকেল সার্ভিস এবং ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতালকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সিভিল সার্জন।

অন্যদিকে ইমার্জেন্সিতে রোগীদের সেবা দেওয়ার সুযোগ-সুবিধা না থাকা, মানসম্মত অপারেশন থিয়েটার না থাকা, ডিপ্লোমাধারী নার্স এবং নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো নথি না পাওয়া, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও নোংরা পরিবেশ এবং মূল্যতালিকা না থাকায় পাঁচলাইশের হেলথ হোম প্রা. লিমিটেড এবং ফেয়ার হেলথ হাসপাতালকে যাবতীয় ঘাটতি পূরণে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী।

এদিন মহানগরীসহ ১৫ উপজেলার ৪৯টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অভিযানে পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে নানা অভিযোগে ১৭টি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন মহানগরীতে দুটি ছাড়াও ফটিকছড়িতে একটি, বোয়ালখালীতে একটি, লোহাগাড়ায় দুটি, আনোয়ারায় একটি, রাঙ্গুনিয়ায় তিনটি এবং বাঁশখালীতে সাতটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আরও তিনদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিন বাঁশখালীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অভিযোগে সাতটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ০১:৪০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
১৮১ বার পড়া হয়েছে

১৭ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

আপডেট সময় : ০১:৪০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকা এবং নোংরা পরিবেশসহ যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় চট্টগ্রামে ১৭টি বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী এবং উপজেলাগুলোতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেন।

সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চট্টেশ্বরীর দেশ মেডিকেল সার্ভিস, পাঁচলাইশের হেলথ হোম প্রা. লিমিটেড, ফেয়ার হেলথ, পাঁচলাইশ শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল, ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতাল এবং মেঘনা ল্যাবে অভিযান পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী। এসময় পাঁচলাইশ শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এবং মেঘনা ল্যাবের সব নথি এবং অন্যান্য সেবা যথাযথ ছিল বলে দেখতে পান সিভিল সার্জন।

অভিযানে লাইসেন্স নবায়ন না করা, অনলাইন নিবন্ধনের কোনো নথিপত্রা না থাকা, ডিপ্লোমাধারী নার্সসহ যথাযথ ডকুমেন্ট না থাকার অভিযোগে দেশ মেডিকেল সার্ভিস এবং ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতালকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সিভিল সার্জন।

অন্যদিকে ইমার্জেন্সিতে রোগীদের সেবা দেওয়ার সুযোগ-সুবিধা না থাকা, মানসম্মত অপারেশন থিয়েটার না থাকা, ডিপ্লোমাধারী নার্স এবং নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো নথি না পাওয়া, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও নোংরা পরিবেশ এবং মূল্যতালিকা না থাকায় পাঁচলাইশের হেলথ হোম প্রা. লিমিটেড এবং ফেয়ার হেলথ হাসপাতালকে যাবতীয় ঘাটতি পূরণে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী।

এদিন মহানগরীসহ ১৫ উপজেলার ৪৯টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অভিযানে পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে নানা অভিযোগে ১৭টি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন মহানগরীতে দুটি ছাড়াও ফটিকছড়িতে একটি, বোয়ালখালীতে একটি, লোহাগাড়ায় দুটি, আনোয়ারায় একটি, রাঙ্গুনিয়ায় তিনটি এবং বাঁশখালীতে সাতটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আরও তিনদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিন বাঁশখালীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অভিযোগে সাতটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।