০৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩

৩ অক্টোবরের পর প্রথম-দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বন্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি

৩ অক্টোবরের পর প্রথম-দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বন্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী ৩ অক্টোবরের পর থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, যারা এখনো প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নেন নাই, তারা ৩ অক্টোবরের পর আর ভ্যাকসিন (টিকা) পাবেন না। অনেক ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে, অনেক ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসন-ব্লুতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ করার আগে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটি ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ গণহারে সবাইকে দেওয়া হবে। এরপর আর দেওয়া যাবে না। এরপর প্রথম ডোজ টিকা আর পাওয়াই যাবে না। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়াও সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, এখনো ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নেয়নি। ৯৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। এছাড়াও ১০ লাখ শিশুকে টিকাদান হয়ে গেছে। তবে, এখনো সোয়া ২ কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে ৪ কোটির বেশি টিকা দেওয়া এখনো প্রয়োজন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি আছে।

আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মাস্ক পরতে হবে, যাতে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বিশেষ ক্যাম্পেইন, চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় : ০২:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০৬ বার পড়া হয়েছে

৩ অক্টোবরের পর প্রথম-দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বন্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

আগামী ৩ অক্টোবরের পর থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, যারা এখনো প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নেন নাই, তারা ৩ অক্টোবরের পর আর ভ্যাকসিন (টিকা) পাবেন না। অনেক ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে, অনেক ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসন-ব্লুতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ করার আগে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটি ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ গণহারে সবাইকে দেওয়া হবে। এরপর আর দেওয়া যাবে না। এরপর প্রথম ডোজ টিকা আর পাওয়াই যাবে না। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়াও সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, এখনো ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নেয়নি। ৯৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। এছাড়াও ১০ লাখ শিশুকে টিকাদান হয়ে গেছে। তবে, এখনো সোয়া ২ কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে ৪ কোটির বেশি টিকা দেওয়া এখনো প্রয়োজন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি আছে।

আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মাস্ক পরতে হবে, যাতে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বিশেষ ক্যাম্পেইন, চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।