দিব্যি বেঁচে আছি

এভাবেও বেঁচে থাকতে হয়!
অস্তিত্বের বেলকনি ভেঙে মাথায় পড়লেও উঁহু শব্দটা উচ্চারণ করতে মানা!
যার মায়ায়, মহত্বে বেড়ে ওঠা।
যে ছিল নিকষ কালো অমাবস্যার ক্লান্তিহীন জোনাক জ্বলা আলোর পিদিম।
কষ্টের পাহাড় পিঠে চেপে যে ছিল কি না আমাদের অভয়াশ্রমের পথ।
শত আবদার-আয়েশের বাস্তবিক আবাসভূমি।
আমার আত্মায়, আমার অবয়বে যার ছিল নিরঙ্কুশ রেখাপাত, সে চলে গেছে সংসার স্বপ্নে।
সে চলে যাওয়ার সাথে আমাদের দোতারার সুরে ছেদ হয়েছে বৈকি তবুও বেঁচে আছি;
বেঁচে থাকতে হয় বলে।
ঘুমালে জাগতে হয় পৃথিবীর আলো দেখার প্রলয়োল্লাসে।
কত দিবস-রজনী চলে যায়, শুধু আমার পাড়ি দেওয়া হয় না পৃথিবীর পথ।
ভেবেছিলাম তাকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা নিরর্থক; নির্ঘাত মনোকষ্টে মারা যাবো।
এই ভাবুন–
আমি এখনো দিব্যি বেঁচে আছি।
বড় হতে হতে হারিয়েছে বটবৃক্ষ বাবা, অভিযোগের কাতারের বন্ধুত্ব।
বিকট হারে বেড়েছে কাক-শকুনরূপী মানুষের আনাগোনা।
মনের অগোচরেও অনেকে হারায়, পর হয়।
শুধু প্রকাশিত হয় না আমার হারিয়ে যাওয়া বা বিদায়বেলার বিজ্ঞপ্তি।
কেউ খোঁজে না নদীগর্ভে বিলীন হওয়া একসময়ের কূলের খবর।
মনের দু’কূল ছাপিয়ে শুধু থেকে যায় মধ্যরাতের নিস্তব্ধ একাকিত্ব!